বাকশাল কী??
উঃ আমরা অনেকেই অনেকভাবে “বাকশাল” শব্দটার সাথে পরিচিত । কিন্তু অনেকেই
হয়ত জানি না এই”বাকশাল” শব্দটার অর্থ । আসুন জানা যাক ,
১৯৭২ সালের ৭ ই মার্চে রক্ষীবাহিনী আদেশ জারির মধ্য দিয়ে একদলীয় স্বৈরতান্ত্রিক
শাসন ব্যবস্থা বীজ নিহিত হয় । জাতীয় রক্ষীবাহিনীকে বিনা ওয়ারেন্টে পেত্তার বা তল্লাশীর
ক্ষমতা দেয়া হয়েছিল ঐ আদেশ বলে । ১৯৭৫ সালে ২৫ শে জানুয়ারি এক সংক্ষিপ্ত অধিবেশনে চতুর্থ সংশোধনীর মাধ্যমে দেশের সর্বময় ক্ষমতার অধিকারী হয় রাষ্টপতি মুজিব ।
” এক নেতার এক দেশ , শেখ মুজিবের বাংলাদেশ ”
সংশোধনীতে রাষ্ট্রপতিকে মাত্র একটি রাজনৈতিক দল গঠন করার ক্ষমতা দেয়া হয়েছে যা জাতীয় দল নামে অভিহিত হবে । সংশোধনী মতে ” কোন ব্যক্তি জাতীয় দল ছাড়া অন্য কোন রাজনৈতিক দল গঠন কিংবা ভিন্ন ধারার কোন
রাজনৈতিক কার্যকলাপে অংশপ্রহণ করতে পারবে না । ”
ঐ সংশোধনীতে ২৯৪ জন সাংসদ ভোট দেন । যারা ভোট দেননি – জাসদের আব্দুল্লাহ সরকার , আ স ময়নুদ্দিন আহমেদ এবং স্বতন্ত্র মানবেন্দ্র নারায়ণ লারমা । আতাউর রহমান খান আগেই অধিবেশন থেকে বেরিয়ে আসেন ।
২৪ শে , ফেব্রুয়ারী , ১৯৭৫ সালে রাষ্ট্রপতি শেখ মুজিব এক জরুরি আদেশ বলে দেশে একটি মাত্র রাজনৈতিক দল ” বাংলাদেশ কৃষক-শ্রমিক-আওয়ামী লীগ বা “বাকশাল ” গঠন করেন আর নিজেকে দলীয় চেয়ারম্যান ঘোষনা দেন । ঘোষনার ৩ নং আদেশে বলা হয় , ” রাষ্ট্রপতি অন্য কোন নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত জাতীয় সংসদের অবলুপ্ত আওয়ামী লীগের সকল সদস্য , মন্ত্রী , প্রতি-মন্ত্রী ও ঊপমন্ত্রী সবাই ‘বাংলাদেশ কৃষক-শ্রমিক আওয়ামী লীগের’ সদস্য বলে গণ্য হবে ” এ আদেশ অমান্য করে বাকশালে যোগদান না নেয়ার সিদ্ধান্ত প্রহণ করে বঙ্গবীর , জনাব ওসমানী ও ব্যারিষ্টার ময়নুল হোসেন তাদের সাংসদ পদে ইস্তফা দেন ।